ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে এ দুই উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই সংসদীয় বরিশাল-১ আসন ঘিরে এ দুটি উপজেলা বেশ আলোচনায় রয়েছে। যেখানে পৌর মেয়রের ছেড়ে হারিছুর রহমানের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ, আবার হারিছের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে তিন প্রার্থীর একত্রে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে বেশ আলোচনায় রয়েছে গৌরনদী উপজেলা।
সর্বশেষ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এরই মধ্যে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. মনির হোসেনকে সমর্থন দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিজের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মো. মনির হোসেনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় মনির হোসেনের কাপ-পিরিচ মার্কাকে বিজয়ী করতে উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সাবেক এ উপজেলা চেয়ারম্যান।
অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে।
মনির হোসেনকে সমর্থন দেয়ার বিষয়ে সদ্য সাবেক গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, আমরা যে তিনজন প্রার্থী একত্র হয়ে নির্বাচনের কথা বলেছিলাম, সেখানে সবার মত ছিল শেষ পর্যন্ত মাঠে একজন থাকবে। এরমধ্যে মো. হাবিবুর রহমানের প্রার্থীতে বাছাইয়ে বাতিল হয়ে গেছে। আর এখন আমি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। তাই সবমিলিয়ে পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মনির হোসেনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি।
এদিকে সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর পূর্ণ সমর্থন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. মনির হোসেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় থাকলে আমার জয়ের বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। আমার পক্ষে যারা প্রচারণায় নামছে তাদের এখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বাধা-বিপত্তির সৃষ্টি করছে।
যদিও এসব অভিযোগ মানতে নারাজ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হারিছুর রহমানের অনুসারী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান বলেন, কে কাকে সমর্থন দিয়েছে তা নিয়ে আমরা কিংবা আমাদের প্রার্থী উদ্বিগ্ন নয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমেই আমরা জেনেছি। মূল বিষয় হলো আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে অনেকে নামলেও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় তিনি এগিয়ে।
তিনি বলেন, প্রচারণার শুরু থেকে এ পর্যন্ত লক্ষ্য করলে দেখবেন কি পরিমাণ সাধারণ মানুষ হারিছুর রহমান হারিছের সাথে রয়েছেন। সেইসাথে আওয়ামী লীগের সাথে যারা রয়েছেন এবং যারা ভালোবাসেন তারাও আমাদের প্রার্থীর সাথেই আছেন। ফলে একটি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবে আর সেটা ফলাফলই বলে দিবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।