বরিশালে অবরোধের প্রভাব পড়েনি, পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বুধবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
বরিশালে অবরোধের প্রভাব পড়েনি, পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল

বরিশালে অবরোধের পক্ষে ও বিপক্ষে মিছিল হয়েছে। দূরপাল্লার বাসে যাত্রী কম হওয়া ছাড়া জেলায় অবরোধের খুব একটা প্রভাব পড়েনি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিংয়ের ছবি গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। তারা জানায়, সকাল ৭টায় বাজার রোডে এবং সকাল ৯টায় লঞ্চঘাট এলাকায় পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর ছাত্রদল।  


এছাড়া আগের দিন মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রুপাতলীতে নগরের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি মশাল মিছিল করেছে। পাশাপাশি একইদিন দুপুরে নগরের বান্দরোডে শ্রমিক দল মিছিল করেছে বলেও জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জাহিদুর রহমান রিপন।


অন্যদিকে এদিন অবরোধবিরোধী শান্তি মিছিল করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সোহেল চত্বরের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ার‌ম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।  


এসময় বক্তারা বলেন, অবরোধ আর জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বরিশালে বিএনপির অবরোধ জনতা প্রত্যাখ্যান করেছে। আর অবরোধ দিয়ে ভোট বন্ধ করার পাঁয়তারা সফল হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আবার সরকার গঠন হবে এবং দেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে।


নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা মিছিল দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়। সেখান থেকে শুরু হওয়া শান্তি মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


বরিশালে সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ এবং বাস চলাচল করছে যথানিয়মে। সেইসঙ্গে বরিশাল নগরের অভ্যন্তরেও গণপরিবহন চলছে। সকাল থেকে যথারীতি লঞ্চও ছেড়েছে বিভিন্ন গন্তব্যে।


সকাল ৯টার পর থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও স্বাভাবিক দিনের মতো খোলা হয়েছে। আর নিরাপত্তায় সতর্কাবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।


বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. ফজলুল করিম জানিয়েছেন, মিছিল রাজনৈতিক দলের অধিকারের মধ্যে পড়ে। ধ্বংসাত্মক কিছু কিংবা জনগণের ভোগান্তি না করে মিছিল-মিটিং করলে তো পুলিশের পক্ষ থেকে কখনোই আপত্তি জানানো হয় না। তবে যারা আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইবে, অগ্নিসংযোগসহ জানমালের ক্ষতি সাধন করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান আগেও ছিল, এখনো রয়েছে।