মাছ ধারায় নিষেধাজ্ঞা, বিকল্প কর্মসংস্থান চান আশাশুনির জেলেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শনিবার ১৭ই জুন ২০২৩ ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
মাছ ধারায় নিষেধাজ্ঞা, বিকল্প কর্মসংস্থান চান আশাশুনির জেলেরা

সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরার চলমান ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকার জেলে পল্লীতে দেখা দিয়েছে অলসতা।বিকল্লপ কর্মসংস্থান না থাকায় অলস সময় কাটছে তাদের। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বাড়তি আয়ের জন্য কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন তারা।


সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার বুধহাটা, কুল্যা, দরগাপুর, কাদাকাটি, খরিয়াটি, প্রতাপনগর, খাজরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কয়েকশত জেলে পরিবার অলস সময় কাটাচ্ছে। সরকারি খাদ্য সহয়াতা দেওয়া হলেলও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ কারনে জেলেরা বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা চান। জেলেদের ভাষ্য মতে সারা বছর মহাজনদের কাছথেকে লাখ লাখ টাকা দাদন নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে হয়।


আড়তে মাছের টাকা দিয়ে মহাজনদের দাদনের টাকা সহবড় অংকের সুদ দিতে হয়।বাকী টাকা দিয়ে সারা বছর সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।প্রাকৃতিক দুর্যোগও খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাছ না পেলে মহাজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ও কখনো স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে চলতে হয়। 


বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া গ্রামের সাগর নির্ভরশীল জেলেরা বলেন ,কানো কোনো সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিকূলতায় মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের। বছরের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মহাজনদের সুদের টাকার বেড়াজালে আটকে যেতে হয় এসব জেলেদের। 


বিরেশ্বর বলেন,অবকাশকালীন সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থার মাধ্যমে যা থেকে নিজ বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন, পুকুরে মাছ চাষ ও আধুনিক প্রযুক্তিতে সবজি উৎপাদন করে এ জেলে পেশার মানুষের সংসারের চাকা সচল করা সম্ভব। পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন তারা।


নিমাই পরামান্য বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকা কালে সরকারি ভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে চাল পাই। এ সামন্য চাল নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। দ্রব্যমূল্যে ও উদ্ধগতির কারনে সংসার চালানো আরো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।


আশাশুনি উপজেলা মৎস্য কর্ম কর্তা বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে বিষয়টি উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাদের জনানে হবে।