নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখানে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে মানুষের আগ্রহ। জাতির পিতার কন্যার অভিপ্রায় হচ্ছে একদিন আগেও যদি সেতু চালু হয় মানুষ একদিন আগেই সুবিধা পাবে।পদ্মা সেতু দিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। এই সড়কটি চারলেনে উন্নিত হচ্ছে। এটি দিয়ে মদনপুর এবং পূর্বাঞ্চলে যাবে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শীতলক্ষ্যা সেতুতে নির্মিত তৃতীয় এ সেতুর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদর উপজেলা ও বন্দর উপজেলার মাধ্যমে সংযোগ তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু ব্রিজই নয়, নারায়ণগঞ্জে জাতির পিতার কন্যা যে পরিমাণ কাজ করেছেন তাতে নারায়ণগঞ্জবাসী চির কৃতজ্ঞ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা এমন একটি স্থানে এসে পৌছেছি এভাবে চললে নারায়ণগঞ্জ ঢাকার থেকেও উন্নত হবে। আল্লাহর রহমতে এটি হয়েছে আরেকটি হবে নবীগঞ্জ এলাকা দিয়ে। এই সেতুটি স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমান।
সেতু প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি। ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২ দশমিক ১৫ মিটার। এছাড়া ছয়লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ করা হচ্ছে।
শীতলক্ষ্যা নদী বন্দর উপজেলা ও সোনারগাঁ উপজেলাকে জেলা সদর থেকে পৃথক করেছে। এ দুটি উপজেলা সরাসরি সড়কপথে জেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। দুই উপজেলা থেকে সদরে যেতে কাঁচপুর ব্রিজ (শীতলক্ষ্যা-১ সেতু) ব্যবহার করতে হতো, এজন্য নৌকায় নদী পথের তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।