পদ্মা সেতু বাঙালি জাতিকে অপমানের প্রতিশোধ: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার ৮ই জুন ২০২২ ০৪:২৩ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু বাঙালি জাতিকে অপমানের প্রতিশোধ: কাদের

পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ।  বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার অসম সাহসের সোনালি ফসল। শেখ হাসিনার সততা সাহসিকতার প্রতীক পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির অহংকার এবং গৌরবের প্রতীক। আরেকটা বিষয় হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক আমাদের দুর্নীতি এবং চুরির দায়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংক শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়, পুতুল ও ববিসহ গোটা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে অপমান করেছে, অপবাদ দিয়েছে। বাঙালি বীরত্ব এবং সম্মানকে ক্ষুণ্ন করেছে। তাই আমি বলবো, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের সামর্থ্য এবং সক্ষমতার সেতু নয়, এই সেতু আমাদের অপমানের প্রতিশোধ।তিনি বলেন, আজকে বিশ্ব ব্যাংক স্বীকার করছে, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা বড় একটা ভুল করেছে। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকে ষড়যন্ত্র করেছে, এখনো করছে।  


তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি এক বিএনপি নেতা বলেছেন, পদ্মাসেতুর এপারে ওপাড়ে দুটি ভিত্তিপ্রস্তর নাকি খালেদা জিয়া করেছেন। রূপ কথার গল্প। সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদাকে সাংবাদিকরা ফোন দিয়ে এর সত্যতা কতটুকু জানতে চান। তখন নাজমুল হুদা বলেন, এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, তবে ভিত্তি প্রস্তর হয়নি। কি মিথ্যাচার। মির্জা ফখরুল কীভাবে যে এতো মিথ্যা কথা বলেন। অন্তরজ্বালায় এরা মরে যাচ্ছে। এদের বুকে বিষের জ্বালা। বিষ জ্বালা নিয়ে এরা অপপ্রচার করছে।


পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটছে। জানি না চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপো তারই একটা অংশ কিনা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে নাশকতা করার ষড়যন্ত্র আছে। ষড়যন্ত্র আছে উদ্বোধনী দিন একটা ঘটনা ঘটানোর জন্য। তারা কিন্তু মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে, আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সবাই সতর্ক থাকবেন। যাতে শত্রুরা ভেতরে ঢুকে কোনো অন্তর্ঘাত করতে না পারে।


সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সংসদ সদস্য (এমপি) নাহিম রাজ্জাক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম,  প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দক্ষিণ বঙ্গের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।সভা পরিচালনা করেন আওয়াম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম।