প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৪
দান ও সদকা ইসলামে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। কোরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে অসংখ্যবার আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ঘোষণা করেছেন, যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের সম্পদ কখনও ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, বরং বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সদকা গুনাহ মুছে দেয় যেমন পানি আগুনকে নেভায়। এই হাদিসে দানের মাহাত্ম্য ও আধ্যাত্মিক সুফল স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। সদকা শুধু সম্পদ দান নয়, বরং যে কোনো কল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণও এর অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামে দানের মাধ্যমে গরিব ও অভাবীদের সাহায্য করার পাশাপাশি সমাজে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। কারণ এটি মানুষকে পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা শেখায় এবং শ্রেণিভেদ দূর করে।
আল্লাহর পথে দান করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। কোরআনে বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর পথে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তাদের জন্য রয়েছে মহান পুরস্কার। তাই দান করার সময় কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টিই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) দানের ক্ষেত্রে ডান হাত যা দেয় তা যেন বাম হাতও না জানতে পারে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, দান হতে হবে গোপনীয় ও রিয়াহমুক্ত। অর্থাৎ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দান করতে হবে।
দান-সদকা দুনিয়ায় যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি আখিরাতেও এটি মুক্তির মাধ্যম। হাদিসে উল্লেখ আছে, দান করার ফলে আল্লাহ বান্দাকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন এবং রিজিকের বরকত বাড়িয়ে দেন।
আজকের দিনে সমাজে অসংখ্য মানুষ দারিদ্র্য, রোগ ও দুর্যোগে কষ্ট পাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করা।
দান শুধু অর্থের মাধ্যমে নয়, ভালো কথা বলা, অসহায়কে সাহায্য করা এবং মানুষের কষ্ট লাঘব করাও সদকার অন্তর্ভুক্ত। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত দানকে জীবনের অংশে পরিণত করা।