প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৭
জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ এবং বরকতময় দিন। হাদিসে এসেছে, এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন বান্দার করা দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, জুমা হলো ঈদের দিনসমূহের মধ্যে সেরা দিন এবং এই দিনে আল্লাহর রহমত বিশেষভাবে বর্ষিত হয়। তাই মুসলমানদের উচিত এ দিনকে ইবাদত ও তাকওয়ার মাধ্যমে পরিপূর্ণ করা।
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে সূরা আল-জুমা অবতীর্ণ করেছেন, যেখানে জুমার দিনের গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে। মুসলমানদের জন্য এ দিনে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ এই নামাজে রয়েছে একতা, শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক উন্নতির অনন্য বার্তা।
এ দিনের অন্যতম আমল হলো বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা। হাদিসে বর্ণিত আছে, জুমার দিনে দরুদ পাঠ করলে তা সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এটি আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
তাছাড়া জুমার দিনে কুরআন তিলাওয়াত করা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে সূরা আল-কাহফ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। হাদিসে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা আল-কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য এক সপ্তাহ আলোকিত থাকবে।
জুমার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো দোয়া। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা, রহমত প্রার্থনা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করা। বিশেষ মুহূর্তে করা দোয়া আল্লাহর কাছে অগ্রাহ্য হয় না। তাই মুসলমানদের উচিত এ দিনে আন্তরিকভাবে দোয়া করা।
এ দিনের আরেকটি বরকত হলো গুনাহ মাফ হওয়া। হাদিসে এসেছে, এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত সময়ের ছোটখাটো গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায় যদি বড় গুনাহ থেকে বিরত থাকা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, জুমা হলো আত্মশুদ্ধির দিন।
নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং পরিপাটি পোশাক পরিধান করে মসজিদে যাওয়া উত্তম। এটি জুমার দিনের আচার-অনুষ্ঠানের অংশ, যা আত্মশুদ্ধি ও ভদ্রতা প্রকাশ করে।
আজ শুক্রবার, তাই মুসলমানদের উচিত এ দিনের পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া, বেশি বেশি ইবাদত করা, দরুদ পাঠ করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এভাবে জুমার দিনকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগালে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করা সম্ভব।