ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজাপুর জেলায় রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে মাওবাদীদের বন্দুকযুদ্ধে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ জন নিরাপত্তা কর্মী (জওয়ান) এবং ৩১ জন মাওবাদী সদস্য রয়েছে। এ ছাড়া, সংঘর্ষে আরও ২ জন জওয়ান আহত হয়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ ভয়াবহ সংঘর্ষটি বিজাপুর জেলার ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার জঙ্গলে ঘটে। এই অভিযানটি নিরাপত্তা বাহিনী শুরু করে, কারণ তারা জানতে পারে যে, ওই এলাকায় মাওবাদী সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের নেতারা উপস্থিত আছেন।
রোববার সকালে মাওবাদীদের সাথে সংঘর্ষে আহত দুই জওয়ানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে ১২ জন মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের সবাই মাওবাদী ইউনিফর্ম পরিধান করেছিল এবং তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাওয়া গেছে।
বিজাপুর জেলা এর আগে মাওবাদী সহিংসতার জন্য পরিচিত। জানুয়ারি মাসে সেখানে একটি আইইডি বিস্ফোরণে আট নিরাপত্তা কর্মী ও এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। এরপর, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া মাওবাদী বিরোধী অভিযানে ৮ জন মাওবাদী নিহত হন।
এই সময়কার অভিযানে মাওবাদীরা এবং নিরাপত্তা বাহিনী একাধিকবার মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়, যার মধ্যে কয়েকটি বড় পরিসরের লড়াইও হয়। বর্তমানে, বিজাপুরের জঙ্গলে গোলাগুলি চলতে থাকায় আরও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ও বিস্ফোরকগুলো পরিস্থিতির আরও উদ্বেগজনক দিক দেখাচ্ছে। এরই মধ্যে, এলাকার পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে, যেখানে মাওবাদীদের সমর্থকরা জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালাতে থাকে।
এই সংঘর্ষের পর, ছত্তিশগড়ের নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান আরও তীব্র করার পরিকল্পনা নিয়েছে। মাওবাদী বিরোধী অভিযানে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষ গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে।
অপরদিকে, মাওবাদীরা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকদিন ধরেই এই এলাকাটি ব্যবহার করে আসছে, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযানটি তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।