নওগাঁ জেলা সমবায় অফিস চত্ত্বরে থাকা প্রায় ৩০টি খেঁজুর গাছ থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে রস সংগ্রহ করে গুঁড় উৎপাদন করছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মজিবর রহমান নামের এক গাছী। সরকারি অনুমোদন বা লিজ ছাড়াই তিনি এই কাজ করে আসছেন। তবে উৎপাদিত গুঁড়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সমবায় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিয়ে থাকেন। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতি মৌসুমে ১০০ থেকে ৩০০ কেজি পর্যন্ত গুঁড় অফিসের বিভিন্ন পদবীর স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয়। এতে করে সরকার গত ২৫ বছরে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
গাছী মজিবর রহমান জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ কেজি গুঁড় উৎপাদন করেন। সমবায় অফিসের জায়গায় থাকার কারণে অফিসের স্টাফদের গুঁড় দিতে বাধ্য হন। এবারের মৌসুমে প্রায় ৮০-৯০ কেজি গুঁড় দিতে হতে পারে বলে তিনি জানান। তবে স্থানীয়রা মনে করেন, এতদিন ধরে এভাবে গুঁড় আত্মসাৎ করা অন্যায় এবং এটি রাজস্ব আদায়ে সরকারের ব্যর্থতার একটি উদাহরণ।
সমবায় অফিসের হিসাবরক্ষক মমিনুল ইসলাম জানান, তিনি ধারাবাহিকভাবে গুঁড় সংগ্রহ করে স্টাফদের মধ্যে বিতরণ করেন। তবে কত কেজি গুঁড় অফিস পায়, সে বিষয়ে তিনি সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। অন্যদিকে, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জয়নুল আবেদীন স্বীকার করেছেন যে গাছের গুঁড় স্টাফরা নেয়, তবে তার দাবি অনুযায়ী সেটি খুবই সামান্য। গাছগুলো লিজ বা চুক্তিভিত্তিক দিলে সরকারের রাজস্ব আদায় হতো কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে পারেননি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সরকারি জায়গার গাছ থেকে এভাবে রস সংগ্রহ করে গুঁড় উৎপাদন এবং তা বিনামূল্যে বিতরণ করা সরকারি সম্পত্তির অপচয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।