ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে গতকাল বিকাল থেকে শুরু হওয়া যানজট পরিস্থিতি পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় আরও কঠিন হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মাধবপুর এবং নরসিংদী জেলার বিভিন্ন অংশে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এর ফলে ভোগান্তি পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
এদিকে, সরাইল উপজেলার এক যাত্রী, রহিম মিয়া জানান, তিনি সরাইল উপজেলা সদর থেকে জেলা শহরে পৌঁছাতে গিয়ে ৩০ মিনিটের যাত্রায় তিন ঘণ্টা সময় ব্যয় করেছেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাক চালক শাহ আলম বলেন, শাহবাজপুর থেকে সরাইল কুট্টাপাড়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে তাঁর দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ জানান, গতকাল দুপুর দুইটার দিকে লংমার্চের যানবাহনগুলো মহাসড়কে প্রবেশ শুরু করে। এ সময় ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় চার হাজারেরও বেশি গাড়ি, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং খোলা ট্রাক আখাউড়ার দিকে চলতে থাকে। রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে বিভিন্ন দিক থেকে গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়ার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।
ওসি আরও বলেন, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশ এবং জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট একযোগে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, রাত ১০টার মধ্যে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং যানবাহনগুলো আবারও মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে।
যদিও যানজটের কারণে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছিল, তবুও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সাধ্যমতো চেষ্টা করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে, সড়ক নিরাপত্তার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে স্থানীয় জনগণ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।