খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ফলে লারমা স্কোয়ারের বিভিন্ন দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যার ফলে অন্তত ৫০-৬০টি দোকান পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা মো. মামুন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি যখন লারমা স্কয়ারের দিকে যাচ্ছিল, তখন পাহাড়িরা বাধা দেয়, যা সংঘর্ষের সূত্রপাত করে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষই একে অপরের দিকে আক্রমণ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
দীঘিনালা বোয়ালখালী এলাকার বাসিন্দা মো. লোকমান হোসেন বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পাহাড়িরা আমাদের মিছিল আটকে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।"
এদিকে, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, "পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ কাজ করছে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট দ্বারা। আমরা চেষ্টা করছি যাতে পরিস্থিতি আরও বিপদজনক না হয়।"
সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের ছায়া পড়েছে, এবং তারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এ ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসনের কাছে দাবি উঠেছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার। পাশাপাশি, দুই পক্ষের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা অর্জনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।