রাজধানীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্তের আলোকে অসামাজিক ও সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার (২০ অক্টোবর) তাকে বহিষ্কার করা হয়। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রাজীব ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকা এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও অবৈধভাবে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগে গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাকে গ্রেফতারের পর র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি এবং দখলদারিত্ব।
সূত্র জানায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যেই সিটি করপোরেশন এলাকার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখল, চাঁদাবাজি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কাউন্সিলরদের কেউ কেউ সরাসরি ক্যাসিনো কারবারের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। অভিযানের পরপরই অনেকেই পালিয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন। মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবও গত দুই সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। র্যাব সদর দফতর ও র্যাব-২ এর একটি যৌথ দল তাকে নজরদারি করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টং দোকানদার থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া রাজীবের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ, চন্দ্রিমা হাউজিং, সাত মসজিদ হাউজিং, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রবাসীদের বাসাসহ এলাকার অনেকের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে। সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রীর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া রাজীব ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেন। এরপর থেকেই মূলত ভাগ্য আরও খুলে যায় তার।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।