প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০১৯, ৩:৫০
ফেনীর আলোচিত সাবেক এমপি জয়নাল হাজারী বলেছেন: যে চক্রটি গত ২০ বছর থেকে প্রচার করে আসছে আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তারাই আজ বলছে আমাকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য করা হয়নি। তিনি আরও বলেছেন: সব বিষয় ওবায়দুল কাদেরের জানার প্রয়োজন নেই।
গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বৈঠকের পর গণমাধ্যমে সংবাদ আসে জয়নাল হাজারীকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন: গতকালের বৈঠকে জয়নাল হাজারীর প্রসঙ্গ উঠেছিল৷ তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই৷ এমন প্রেক্ষাপটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন আলোচিত রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারী।
‘আজ সাংবাদিকরা আমার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হওয়ার বিষয়টি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে তিনি বলেছেন, আমার জানা নাই। আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি রাজনীতি করতে হলে কিছু মিথ্যা কথা বলতে হয়। কিন্তু তিনি এ কথাটি সত্য বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি, আমি কিছু জানি না। তার কথাগুলো শতভাগ সত্য’, বলেন জয়নাল হাজারী। তিনি আরও বলেন: নেত্রী এটা নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করেননি। কারণ কাউকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য করা একান্ত নেত্রীর এখতিয়ার। গতবার সম্মেলনে নেত্রীকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা অনেকটা নিয়োগ, কোনো ভোটের মাধ্যমে বা কাউন্সিলের মাধ্যমে হওয়ার বিষয় নয়। এটা ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে আলাপ করে করার কোনো দরকার নাই। তার জানার কোনো দরকার নাই। আমাকে ৪০ লাখ টাকা নেত্রী দিয়েছেন, এটা উনি জানতেন না। আমি ওনার বাসায় গিয়ে জানিয়ে এসেছি।
উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জানিয়ে জয়নাল হাজারী বলেন: উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে চাইনি। তারপরও আমাকে কথা বলতে হচ্ছে। গতকাল রাত ৯টা-১০টার দিকে নেত্রীর স্বাক্ষর হওয়ার পর তার আস্থাভাজন একজন নেতা আমাকে ফোন করে জানালেন নেত্রী স্বাক্ষর করেছেন। এরপরই দেখলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি চলে এসেছে। আজ সারাদিন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি কি সিঙ্গাপুরে বসে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? তিনি আরও বলেন: আমার বিষয়ে নেত্রীর সবসময় এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যে চক্রটি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বলেছে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেই পক্ষই আজ বলছে আমাকে উপদেষ্টা করা হয়নি। আমি ঘোষণা করছি আমাকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। যে ফোরামে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ রয়েছেন সেখানে আমাকে রেখে সম্মানিত করা হয়েছে। এটা ইতিহাসে নজিরবিহীন।