যা বললেন ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
যা বললেন ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদক

২৮ বছর পর ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বুধবার রাতে কাউন্সিলররা সরাসরি ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে। রাজধানীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাড়িতে এই ভোটাভুটি হয়। স্কাইপিতে এই আয়োজনের পুরোটা তত্ত্বাবধান করেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছাত্রদলের নতুন সভাপতি হয়েছেন ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল হোসেন শ্যামল। ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৯ জন সভাপতি প্রার্থী এবং ১৯ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্য থেকে এই দুজনকে বেছে নিয়েছেন কাউন্সিলররা। সারা দেশে ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক শাখার ৫৩৪ কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮১ জন ভোটাভুটিতে অংশ নেন।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সভাপতি হয়েছেন খোকন। তিনি পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের ভোট ১৭৮। সাধারণ সম্পাদক পদে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন শ্যামল। তিনি পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৪ ভোট। মধ্যরাতে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শেষে ভোরে ফল ঘোষণা করেন মির্জা আব্বাস। ছাত্রদলের এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে গণমাধ্যমে নিজেদের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানান নবনির্বাচিত দুই নেতা। নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচনের ব্যবস্থা করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফলে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন তারা। এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘ছাত্রদলের প্রথম চ্যালেঞ্চ হবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা। আর তার মুক্তির মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদলকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ডাকসু নির্বাচনেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা ছাত্রদের অধিকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের কার্যাবলি সুনিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাব।’ ছাত্রদলের শীর্ষনেতা নির্বাচনে ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম ভোট হলো। ওই কাউন্সিলে রুহুল কবির রিজভী সভাপতি এবং এম ইলিয়াস আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে কয়েক মাস পরই কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। ছাত্রদলের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আকরামুল হাসান।

ইনিউজ ৭১/এম.আর