বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণ একটু মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেলেই আওয়ামী লীগ রাজপথ তো দূরে থাক, গলিপথ দিয়েও পালানোর পথ পাবে না। জনগণ ফুঁসে উঠলে কারো গায়ে মুজিব কোট থাকবে না। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জনরোষেই খালেদা জিয়ার পতন হয়েছে’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, জনরোষ নয় শেখ হাসিনার রোষেই বন্দি করা হয়েছে গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের সামনে উন্নয়নের নামে ফানুস উড়ায়। আসলে বিগত ১০ বছর ধরে কোনো উন্নয়নই হয়নি। আজকে ঢাকা থেকে গাজীপুরে যেতে সময় লেগে যায় ৫ ঘণ্টা। ময়মনসিংহ যেতে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা। বৃষ্টি হলেই খানাখন্দ হয়ে যায় সড়ক। দেশের কোনো উন্নয়নই হয়নি। আসলে উন্নয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের ঠোঁটে এবং মুখে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে ক্রসফায়ার আর গুমের মাধ্যমে মানুষকে নিরুদ্দেশ করে দেয়া হচ্ছে। দেশের সব মানুষকেই তারা নিরুদ্দেশ করতে চায়। সে কারণে শিশুখাদ্যে (দুধ) অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করতে চায়। ব্যাগের মধ্যে শিশুর ছিন্ন মাথা পাওয়া যাচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। আজকে ফেনী থেকে বরগুনা সর্বত্রই শুধু আহজারি, শুধু কান্না। এটাই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার উন্নয়ন। অথচ ঢাকায় ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। সেদিকে সরকারের নজর নেই।
প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন সফরের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, বন্যা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে মধ্যবঙ্গ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায়, আর প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিনের ছুটিতে লন্ডন চলে গেছেন। বাহ, এই হচ্ছে দায়িত্ব সরকারের। তাদের ভোট লাগে না, নির্বাচন লাগে না। তাদের লাগে পুলিশ আর র্যাব। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে মানুষ তিস্তা নদীতে ভাসছে আর প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বৈঠক করে যাচ্ছেন। এই হচ্ছে এই সরকারের দায়িত্ব। কারণ তাদের তো নির্বাচন, ভোট ও জনগণ লাগে না। যারা রাতের অন্ধকারে ভোট করে তাদের দায়িত্ব তো এরমকই হবে। মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাবের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।