শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে নিজের ছোট ভাই ও দলের কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শনিবার (৪ মে) রাজধানীর বারিধারায় প্রেসিডেন্ট পার্কে রাত ১১টায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ ঘোষণা দেন এরশাদ। এ সময় এরশাদ জানান, আমার অবর্তমানে পার্টির চেয়ারম্যান থাকবেন জিএম কাদের। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাদের।
এর কিছুক্ষণ পরেই বিদিশা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরশাদের সাংগঠনিক নির্দেশনাপত্রের ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্’। তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। বিদিশার এ উচ্ছ্বাসের পেছনে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও এরশাদপত্নী রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কাজ করছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে বিদিশার ওই ফেসবুক পেজটি বিদিশারই কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পেজটি ভেরিফাইড না হওয়ায় অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছেন। রওশন এরশাদের সঙ্গে বিদিশার দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাঁদের ধারণা বিদিশা এখনো রওশনের প্রতি ক্ষোভ পুষে রেখেছেন। আর এ কারণেই রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জি এম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিদিশা।
এর আগে গত মাসে জি এম কাদেরকে দলে তার উত্তরসূরি ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছিলেন এরশাদ। তবে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পর গত ২২ মার্চ দলে ‘বিভেদ’ তৈরি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ‘ব্যর্থতার’ অভিযোগ তুলে জি এম কাদেরকে কো চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। পরদিন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকেও কাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সংসদের উপনেতা করা হয় রওশনকে। এরপর সপ্তাহ দুয়েক না হতেই গত ৪ এপ্রিল জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যানের পদ ফিরিয়ে দেন এরশাদ। দুদিন বাদে এক ‘সাংগঠনিক নির্দেশে’ তাকে আবার দলের ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যানও ঘোষণা করেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।