প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৫
জামায়াতে ইসলামী ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজনের পক্ষে নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার সকালে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলন’-এ তিনি এ কথা বলেন এবং সমাজে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্বের উপর জোর দেন।
জামায়াতের আমির বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনন্য এবং আল্লাহভীরু মানুষ সমাজের নেতৃত্বের আসনে বসলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত একজন মানুষ জাতির ক্ষতি করতে পারে, যা হাজার মানুষ মিলেও করতে পারে না। এই কথার মাধ্যমে তিনি নেতৃত্ব ও শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে পারিনি। তিনি জানান, জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে ওলামায়েদের দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। সমাজে ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তাদের ভূমিকা অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জ্ঞান ও ক্ষমতা কোরআন-হাদিসের আলোকে জাতির কল্যাণে কাজে লাগানো উচিত। এমন একটি শিক্ষিত সমাজ গঠন করা জরুরি, যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবিক নীতি সমানভাবে প্রচলিত হবে।
জামায়াতের এই বক্তব্যের মাধ্যমে দলটি সমাজে বিভাজন রোধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। ডা. শফিকুর রহমান মনে করিয়ে দেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মানুষের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য।
তিনি শিক্ষিত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে জাতির কল্যাণে ব্যবহার করুন। কোরআন ও হাদিসের শিক্ষার আলোকে সমাজে ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সম্মেলনে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক নীতির প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। দলটির নেতৃত্ব আশা প্রকাশ করেছে, এই ধরনের উদ্যোগ দেশের সমাজে শান্তি ও সমন্বয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী আবারও স্পষ্ট করে দেয়, তারা ধর্মকে বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় না, বরং মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার দিকে মনোনিবেশ করছে।