প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪৭
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। অভিযোগ হলো, তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিএনপির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফজলুর রহমানের নামে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। ওই নোটিশের জবাব দিতে না পারায় তিনি সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর ২৫ আগস্ট তাকে ২৪ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ফজলুর রহমান লিখিত জবাব দেন। তবে দলীয় সূত্র জানায়, জবাবটি ‘অসন্তোষজনক’ হওয়ায় সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘তথাপিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান বিবেচনায় নিয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আপনার দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।’ এটি দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নেওয়া পদক্ষেপ।
সিদ্ধান্তে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফজলুর রহমান এখন থেকে টকশো, সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলার সময় দেশের মর্যাদা ও দলের নীতিমালা ক্ষুণ্ন না হয় এবং দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে সে বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এটি দলের ভেতরের শৃঙ্খলা ও সম্মান রক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয়েছে।
দলীয় নেতারা মনে করছেন, এসব বিধি-নিষেধ দলের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমতের বিরূপ প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, দলের অন্যান্য সদস্যদের জন্য সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করবে।
ফজলুর রহমান বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ও প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার স্থগিত হওয়া পদ তিন মাসের জন্য প্রযোজ্য হলেও তা দলের নীতি ও শৃঙ্খলা মেনে চলার ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
দলীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে দলের স্বার্থে নেওয়া একটি কার্যকর পদক্ষেপ। এটি দলের সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং বিবেচনাশীল বক্তব্য প্রদানের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন বিতর্কিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়ক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।