প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮:২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম শুধু পরবর্তী সংসদের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের সময় থেকেই তা কার্যকর করতে হবে। তিনি মনে করেন, এই সময়ই হলো দেশের রাজনৈতিক ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রকৃত সুযোগ।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আগামীকাল রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিতব্য ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণার প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহারে’ আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা থাকবে। ইতিমধ্যে ‘জুলাই পদযাত্রা’ সম্পন্ন করেছি, যা দেশের মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। যারা এতে অংশ নিয়েছেন ও সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি জানান, জুলাই পদযাত্রার মূল দাবি ছিল বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন। এ দাবিকে ঘিরেই গঠিত হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ। নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা শুনেছি, আগামী ৫ আগস্ট সব রাজনৈতিক পক্ষকে নিয়ে সরকার জুলাই সনদ প্রকাশ করবে। আমরা সরকারের এ উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছি।
তবে সনদের কিছু বিষয়ে এখনও ভিন্নমত রয়ে গেছে বলে জানান তিনি। তার ভাষায়, “যদিও বেশিরভাগ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভিন্নমত রয়ে গেছে। ঐকমত্য কমিশন এখনও এই বিষয়ে কিংবা সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি।”
নাহিদ ইসলাম আশা প্রকাশ করেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া স্পষ্ট হলেই সব রাজনৈতিক দল এই সনদে স্বাক্ষর করবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই ঐক্য দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি রচনা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা চাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকুক এবং এই ভিত্তির ওপর পরবর্তী নির্বাচন ও সংসদ গঠিত হোক।”
তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমল থেকেই জুলাই সনদের কার্যকারিতা শুরু হওয়া উচিত। তিনি বলেন, এ সময় যদি সংস্কার শুরু না হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক বার্তা বহন করবে। সঠিক দিকনির্দেশনায় সংস্কার শুরু হলে তা আগামী দিনের গণতন্ত্রকে আরও দৃঢ় করবে।