বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে যে আলোচনাগুলো হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট হয়নি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ, যা দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন দিক।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "আমরা শঙ্কিত। আমাদের দাবি ছিল, আমাদের আওয়ার কাটআউট টাইম ডিসেম্বর; তবে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা অসন্তুষ্ট, কারণ নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।"
মহাসচিব জানান, বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়, কারণ এই সময়সীমার মধ্যে ভোট হওয়া দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সমাধানে সহায়ক হবে। তাঁর মতে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে এবং দেশের অবস্থা আরও খারাপের দিকে নড়ে যেতে পারে।
বৈঠকের সময় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ৮ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিল স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এই নেতারা নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারের প্রতি স্পষ্ট দাবি করেছেন।
তাদের দাবির মূল বিষয় হলো, বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিবেশ এবং দেশের অবস্থা, তা দ্রুততম ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্যেই সমাধান করা যেতে পারে। মহাসচিব বলেন, "আমরা আমাদের উদ্বেগ ও প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভাগ করে নিয়েছি। তবে, এখনো স্পষ্ট কোন সময়সূচী দেওয়া হয়নি, যা আমাদের মনে জোরালো অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।"
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্কার ও উদ্যোগে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নেওয়া আলোচনায় সংস্কারের বিষয়গুলোও স্পষ্টতা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। মহাসচিব ,নির্বাচন যে কোনও কারণে বিলম্বিত হলে দেশের সামগ্রিক অবস্থা আরো প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত হবে।