"উলিপুরে 'তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ' শীর্ষক কর্মশালা"

নিজস্ব প্রতিবেদক
আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
"উলিপুরে 'তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ' শীর্ষক কর্মশালা"

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে ১৫ জানুয়ারি তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে "তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ" শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালাটি উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বেলা ১২ টায় শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহামুদুর রহমান। 


এছাড়াও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীরা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল হাই, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ হারুণ অর রশিদ, উলিপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ওয়ালেদা বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার এবং উলিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাওলানা মমতাজুল হাসান করিমী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। 


এই কর্মশালায় মোট ৭টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলের নেতা তাদের দলের ভাবনা ও পরিকল্পনা মঞ্চে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা তরুণদের মধ্যে ভবিষ্যৎ উন্নয়নমূলক চিন্তা চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং তরুণদের অংশগ্রহণে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 


কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের মধ্যে বাংলাদেশের আগামী দিনের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা তৈরি করা এবং তাদেরকে এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশীদার হিসেবে তৈরি করা। এতে তরুণরা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য সম্পর্কে ভাবনা প্রকাশ করতে সক্ষম হন। 


অনুষ্ঠানটি চলাকালীন বিভিন্ন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। শিক্ষার্থীরা কর্মশালার মাধ্যমে তাদের চিন্তা ও ভাবনাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পায়। 


উলিপুর উপজেলা থেকে শুরু হওয়া এই তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ কর্মশালা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে আরও অনেক তরুণ অংশগ্রহণ করবে এবং নিজেদের ভাবনা ও পরিকল্পনাগুলো ভাগ করে নিবে। 


এ ধরনের কর্মশালা তরুণদের মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। উলিপুরে এই ধরনের উদ্যোগ তরুণদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। 


এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন দেশব্যাপী তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং আগামী দিনের বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।