নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মাঠ এখন সরিষা ফুলে সেজে উঠেছে। শীতের রোদে বিস্তীর্ণ জমি হলুদ রঙে ভরা, যা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। সরিষা ফুলের গন্ধে মগ্ন হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা, আর প্রজাপতির উড়ান এবং মৌমাছির গুনগুন শব্দ প্রকৃতির এক অনবদ্য দৃশ্য তৈরি করেছে।
গত কয়েক বছর ধরে সরিষা চাষে কৃষকেরা লাভবান হয়েছেন, যার ফলে এ বছর আরো বেশি কৃষক সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশায় মাঠে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তারা। বর্তমানে সরিষার পাশাপাশি আলু, গম এবং ভুট্টারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এ বছর আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৬,৭৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মাঠে সরিষার জন্য পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হলেও কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতার ফলে ক্ষেতে রোগ-বালাই কম রয়েছে।
এছাড়া, সরকারী পর্যায় থেকেও কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সরিষার বীজ এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। তবে কিছু কৃষক জমি অনুপযোগী হওয়ায় ঠিক সময়ে সরিষা বপন করতে পারেননি। এতে তাদের কিছুটা ক্ষতি হলেও, তারা এখন অন্য রবিশস্য চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা আশাবাদী যে, বাম্পার ফলন হলে তাদের আয়ের পাশাপাশি ইরি-বোরো ধান চাষে আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।
রসুলপুর গ্রামের কৃষক সুমন সোনা জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন এবং ফলন ভালো হলে প্রতি একর জমিতে ১০ মণ সরিষা উৎপাদনের আশা করছেন। একইভাবে ভবানীপুর গ্রামের কৃষক গোলাম মুর্তুজা বাবু বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সরিষার আবাদে ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, সরিষাসহ শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের লাভবান করতে তারা কাজ করছেন এবং কৃষকদের যে কোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।