ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভের কারণে শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে ধানমন্ডি, মিরপুর, গাবতলী, পল্টন, গুলিস্তান ও হাইকোর্টসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে সড়কে আটকা পড়েছেন সাধারণ মানুষ, ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন অফিসগামী, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য যাত্রীরা।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, তাদের উপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ব্যাটারিচালিত রিকশার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তাদের জীবিকা নির্বাহে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। গত সপ্তাহের বুধবার (২১ নভেম্বর) এবং বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রিকশাচালকরা একই ধরনের আন্দোলন করেছিল। সে সময়ও যানজটের কারণে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষোভের কারণে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ চার রাস্তা ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের একটি নির্দেশনায় ১৯ নভেম্বর ঢাকার মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের বেঞ্চে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজী এই আদেশ দেন। আদালত জানিয়েছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা লাইসেন্সবিহীন এবং অবৈধ হওয়ায় তাদের চলাচল বন্ধ করা হবে। এ সিদ্ধান্তের পর, ঢাকার রিকশাচালকরা সড়কে তাদের কর্মসংস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, যদি তাদের কর্মসংস্থান বন্ধ করা হয়, তবে তাদের পরিবারের ভরণপোষণ কীভাবে হবে, সে প্রশ্নে উদ্বিগ্ন তারা। সড়ক অবরোধের ফলে রাজধানীতে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, তবে প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।
সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি, ফলে রাজধানীজুড়ে এই অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।