দলীয় কর্মী সমর্থক ছাড়া ভোটের প্রতি আগ্রহ নেই সাধারণ ভোটারদের। সে হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারাই। এর বাইরে প্রার্থী নেই। এদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মাঝে কোনো আগ্রহ নেই। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে চায়ের দোকানে বসে আড্ডায় চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা। রোববার সকাল ৮টা থেকে জেলার ৭ উপজেলায় ৫৯৭টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা। ভোটারদের নিরাপত্তায়ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবুও ভোটকেন্দ্র নেই ভোটারদের আশানুরূপ উপস্থিতি।
রোববার সকাল পৌনে ১০টায় সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে জুবলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ছোট চায়ের দোকানে চলছিল ভোট নিয়ে আলোচনা। ভোট দিতে যাবেন কিনা আর গিয়ে কী হবে সেটা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সাতক্ষীরা সদরের মুনজিতপুর এলাকার ভোটার বৃদ্ধ আজগার আলী। বয়স প্রায় ৮০ বছর। চাচা ভোট দিতে যাবেন না? এ প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, কিসের ভোট? কোন ভোট? এখন কী ভোট দেয়া লাগে? কেন্দ্রে গিয়ে কী হবে? ভোট দিলেও নৌকা জিতবে না দিলেও জিতবে।
এমন সময় পাশ থেকে আারেক বৃদ্ধ মুনজিতপুর এলাকার কোরবান আলী বলেন, নির্ভয়ে ভোট দিতে যাব। কোনো ভয় নেই। এখনো যাইনি। আপনার চাচি রান্না করছে, শেষ হলেই যাবো। সাজ্জাত আলী নামে অপর একজন বলে ওঠেন, এখন আর ভোটারদের ভোট দেয়ার দরকার হয় না। নিজেরাই দিয়ে নেয়। কেন্দ্রে যেতে ভয় দেখায়। তবে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোথাও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বা হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ নেই। যদি কেউ এমন অভিযোগ করে তবে সে মিথ্যে অভিযোগ করছে। এখনো কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।