বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বজায় রয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় 'জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ' এর তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফল। বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা সারা জাতির ব্যর্থতা হবে।"
তারেক রহমান দাবি করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য দেশের পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, "এই সরকার কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে নিচ্ছে। জনগণ মনে করছে, সরকার নিজেদের স্বার্থে এসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে।"
তবে তিনি সরকারের কিছু উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন, বিশেষত নির্বাচন কমিশন সংস্কারের উদ্যোগ। তার মতে, “এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, কারণ জনগণ এখন মনে করছে, তারা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে এবং ভোটের অধিকার ফিরে পাচ্ছে। যদি জনগণ বুঝতে পারে, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা বাড়বে।”
এছাড়া, তারেক রহমান দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, "বর্তমানে দেশ আমদানি ও ঋণনির্ভর হয়ে পড়েছে, যা মাফিয়া চক্রের অপতৎপরতার ফল। বিএনপির শাসনামলে ১০ হাজারের বেশি পোশাক কারখানা ছিল, কিন্তু এখন তা ৩ হাজারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে।"
তারেক রহমান আরও বলেন, দেশকে স্বনির্ভর করার জন্য বিএনপি নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি উল্লেখ করেন, "দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, প্রবাসী বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং এসএমই বিনিয়োগের জটিলতা দূর করার লক্ষ্যে বিএনপি কাজ করছে।"
তিনি দেশের বর্তমান অবস্থাকে তুলনা করেন বিএনপির শাসনামলের সঙ্গে, বলতেও ভুলেননি যে, দেশের পতিত স্বৈরাচাররা পালিয়ে গেছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "ফ্যাসিবাদী সরকারের ১৬ বছরের জঞ্জাল তিন মাসে মুছে ফেলা সম্ভব নয়, কিন্তু জনগণের সন্তুষ্টি না থাকলে সরকারের সমালোচনা হবেই।"
শেষে, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা ও পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের অগ্রাধিকার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, "এ ধরনের সমস্যা সমাধান না হলে সরকারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।"
তারেক রহমানের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে তার দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্র পুনর্গঠন নিয়ে উত্থাপিত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।