সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, পাবনার চাটমহর এবং নাটোরের সিংড়া এলাকায় চলনবিল অঞ্চলে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি। এসব পাখি শিকার করে বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। স্থানীয় বাজারগুলোতে এসব শিকার করা পাখি বিক্রি হচ্ছে; কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতার অভাবে এ ঘটনার প্রতি কোনো প্রতিরোধ নেই।
প্রতি বছর শীতকালীন অতিথি পাখি গ্রীষ্ম প্রধান এলাকা ত্যাগ করে বাংলাদেশে চলে আসে। বিশেষ করে চলনবিল, হাওর ও দীঘির পানি এবং খাদ্য শিকারে অতিথি পাখির প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। তবে অবাধে শিকারের কারণে এই পাখির সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে, যা পরিবেশগত ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।
এলাকার শিকারিরা এসব পাখি শিকার করে রাতে এবং ভোরে বাজারে নিয়ে আসেন। স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বালিহাঁস, শামুখ খাওয়ালী , সাদাবক, কানাবক, নলগাগ সহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি। স্থানীয় বাসিন্দারা এসব পাখি কিনে শিকারিদের উৎসাহিত করছেন, যা পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিলেজ ভিশনের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফ খন্দকার এবং উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম বলেন, "অতিথি পাখির শিকার একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কাজটি জানার পরও স্থানীয়রা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।" তাঁরা সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা কামরুজ্জামানও শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা জানিয়েছেন, শিকারিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অভিযান চালানো হবে।
এতে, অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।