প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার কোনো ধরনের কাজ করছে না এবং সংবাদপত্রের ওপর কোনো আক্রমণ সহ্য করা হবে না। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশের কোনো পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল বা নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়নি এবং সংবাদ পরিবেশন নিয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের তরফ থেকে কখনো কোনো সংবাদ মাধ্যমকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে কোনো সংবাদ সরিয়ে নেওয়া হোক বা কোনো টকশো বন্ধ করা হোক। গত ১৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে এমন ধরনের চর্চা ছিল, তবে আমাদের পক্ষ থেকে কখনো তা বলা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো সংবাদ ভুল হয়, আমরা তা বিনয়ের সঙ্গে সংশোধন করার জন্য বলেছি, কিন্তু কখনো কোনো সংবাদ মাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হয়নি।” তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং যোগ করেন, “গত তিন মাসে কাউকে বলিনি যে এই রিপোর্ট যাবে না, কিংবা এই সংবাদ কেন প্রকাশিত হয়েছে।”
সম্প্রতি কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, “এটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ, তাদের অবশ্যই কোনো কারণ ছিল। গত ১৫ বছরে কিছু সাংবাদিক স্বৈরাচারের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করেছেন এবং তারা অনেক সময় সহিংসতা উসকে দিয়েছেন।” তিনি মনে করেন, এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, “আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কিছু করি না। আমাদের লক্ষ্য মিডিয়া ফ্রিডম এবং মিডিয়া ইনস্টিটিউশনালাইজেশন।” তিনি এও বলেন, “অনেক সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেল সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়ে কাজ করেছে, কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কোনো হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।”
শফিকুল আলম সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "সবাই চাই, বাংলাদেশে মুক্ত এবং স্বাধীন মিডিয়া থাকুক, যেখানে গণমাধ্যম তার কাজ করতে পারবে অবাধে এবং সুষ্ঠু পরিবেশে।"
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।