সদ্য সাবেক বরিশাল সিটি মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দুই দফায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েও না পেয়ে অবশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন তিনি। তার পক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেছেন, দলের সিদ্ধান্ত স্বতন্ত্রভাবে যে কেউ নির্বাচন করতে পারবে। দলের এই সিদ্ধান্ত জানতে পেরে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রার্থী হওয়ার জন্য দাবি তুলেছেন। নেতাকর্মীদের দাবি রক্ষায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বরিশাল ৫ আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের দলীয় প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ২০১৮ সালে দলীয় প্রার্থী হয়ে সিটি নির্বাচন করে জয়ী হন। তবে নানান বির্তকিত কর্মকান্ডের কারণে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তার স্থানে মনোনয়ন দেওয়া হয় তারই আপন ছোট চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে। তিনি নির্বাচিতও হয়েছেন। এরপরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন দাবি করেন সাদিক। কিন্তু এবারও দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি।
বরিশাল-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। জাহিদ ফারুকের সঙ্গে সাদিক আব্দুল্লাহর রাজনৈতিক অন্তঃকোন্দল বিরাজমান। সিটি নির্বাচনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাদিক আব্দুল্লাহর বিপক্ষে অবস্থান নেন। এবার সংসদ নির্বাচনে জাহিদ ফারুকের বিপক্ষে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে অনেকটা চাপে ফেলে দিয়েছেন দলীয় এই প্রার্থীকে। এছাড়া মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে সবেচেয়ে বেশি ভোটার বরিশাল সিটির বাসিন্দা। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সাদিক বিগত ৫ বছরে সাংগঠনিকভাবে দলকে অনেকটাই চাঙা করেছেন। ফলে ওই সকল নেতাকর্মীরা তাকে সমর্থন দিলে নির্বাচনী ফলাফল তার পক্ষে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। যদিও জাহিদ ফারুকের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন সাদিক আব্দুল্লাহর চাচা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।