ভারতের হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলাদেশে যেভাবে চলছে এভাবে চলতে পারে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: শনিবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
ভারতের হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলাদেশে যেভাবে চলছে এভাবে চলতে পারে না

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা শুক্রবার এক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “ভারত ছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি উন্নত হবে না। বাংলাদেশ যেভাবে চলছে, সেটি চলতে পারে না।” 


বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মানিক সাহা বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান তাদের মনে রাখা উচিত।” তিনি বাংলাদেশের জনগণকে সতর্ক করে বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, বাংলাদেশে ভারত-বাংলাদেশ ফ্লাইট পরিষেবা শিগগিরই শুরু হবে। তবে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এটি কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে। তবুও, আমি বিশ্বাস করি, একদিন তা নিশ্চিতভাবেই ঘটবে।”


মুখ্যমন্ত্রী সাহা আরও বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ভারতের সাহায্য অপরিহার্য। স্বাধীনতার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা বাংলাদেশের জনগণ ভুলে যেতে পারে না।” তিনি উল্লেখ করেন, “ত্রিপুরার জনগণ কিভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য সহায়তা করেছে, সেটাও তাদের মনে রাখা উচিত।”


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের অবস্থা যাতে উন্নতি করে, তার জন্য ভারতীয় জনগণের সহায়তা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশকে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং এর সমাধানে আমাদের সবার একত্রিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”


তবে, মানিক সাহা বলেন যে, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক কখনোই সংকুচিত হবে না। “দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা সব সময় অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের জনগণ আমাদের সহযোগিতার মূল্য বুঝুক। কেননা, আমরা তাদের স্বাধীনতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি,” উল্লেখ করেন তিনি।


অবশ্যই, তার মন্তব্যগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনাকে আরো উজ্জীবিত করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ত্রিপুরার সাথে তার সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।


সাধারণভাবে, মুখ্যমন্ত্রী সাহার বক্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গভীরতার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সহযোগিতার পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের দিকে ইঙ্গিত করে। এটি উভয় দেশের মধ্যে একটি সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একটি আহ্বান বলে মনে হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে উভয় দেশের জনগণের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়। 


এখন সবার দৃষ্টি থাকবে বাংলাদেশের সরকারের এই বক্তব্যের প্রতি এবং কিভাবে তা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।