সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্রিকেটের গুগলির মতো সরকার বিএনপির গুগলিতে বোল্ড আউট হয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সরকারকে একটি মেসেজ দিয়েছে, তা হলো―তোমরা অবিলম্বে গদি ছাড়ো।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখন ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
সরকারকে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তা না হলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমরা সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছি।
দাবি এক দফা। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও। না হলে পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আর আমানউল্লাহ আমানের সঙ্গে (গত শনিবার) যে নাটক হয়েছে সেই নাটকে ওনারা ছোট হননি। ছোট হয়েছ তোমরা।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকটা লোককে বিদেশ থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছে। তার মধ্যে একটা নাকি আমেরিকার লোক।
যার নামও কেউ কোনো দিন শোনেনি। সে আবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বক্তৃতা করে আর প্রেসকে বলে, এখানে কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট (তত্ত্বাবধায়ক) সিস্টেম চলবে না। বা রে বাহ! তুমি কে ভাই? হু আর ইউ! এদেরকে কেউ চেনে না। টাকা দিয়ে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। এদের গতবারও নিয়ে আসা হয়েছে। যেই ফোরামের হয়ে তারা এসেছে সেই ফোরাম এবং এটার প্রতিষ্ঠাতা যে আবেদ তাকেও দেশের মানুষ কেউ চেনে না। এ ধরনের ভাঁওতাবাজি করে মানুষকে বোকা বানাতে চায় তারা।’
তিনি আরো বলেন, ‘অবৈধ সরকারের পুলিশ আমাদের ২৭ জুলাই সমাবেশ করতে দেবে না। আমরা তো পরের দিন করলাম। সেখানে প্রতিকূল পরিবেশেও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। তাদের বার্তা ছিল―এই মুহূর্তে গদি ছাড়ো। আমাদের ছোট ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতেও সরকার ভয় পেয়েছে। তারা যুদ্ধের সাজে সাঁজোয়া যান নিয়ে নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা করেছে। প্রবীণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক থাকে না তারাই এগুলো করে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।