অন্তরে কুরআন-সুন্নাহর সহি আকিদা থাকলে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব: সাঈদ খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার ১১ই মার্চ ২০২৩ ০৭:০৬ অপরাহ্ন
অন্তরে কুরআন-সুন্নাহর সহি আকিদা থাকলে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব: সাঈদ খোকন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, আজকে আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষের ন্যায় বিচারের প্রতি আস্থা নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দিয়ে আস্থা অর্জন সম্ভব নয়, আমরা যারা এর সাথে সম্পৃক্ত তাদের মধ্যে যদি পরিবর্তন ঘটাতে পারি, তাদের অন্তরের মধ্যে কুরআন এবং সুন্নাহর সহি আকিদা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলেই দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।


আজ শুক্রবার (১০ ই মার্চ) আশুলিয়ার বাইপাইলে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাদীসের দাওয়াত ও তাবলীগের মহা সমাবেশের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন।


সাঈদ খোকন বলেন, মুসলমানদের ঐক্য জরুরি একটি বিষয়। আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বীন ইসলামকে সুন্দরভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে আমরা একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ পাব। একইভাবে এদেশের মানুষ ইসলামের আলো ছায়ায় বেড়ে ওঠবে। যেখানে আমাদের ইহকাল এবং পরকাল মঙ্গলময় হবে।


সাবেক এই মেয়র বলেন, এই ভূখণ্ডে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একত্ববাদ এবং শিরক ও বিদআতমুক্ত একটি দেশ গড়তে চায় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিস। এমন সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই যার মধ্যে জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সমতাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে। যেই ভূখন্ডে এই জনগোষ্ঠী সুখে-শান্তিতে তার ইহকাল এবং পরকালের জীবনের মঙ্গল তিনি নিজেই নিশ্চিত করতে পারবে। এরকম একটি সমাজ ব্যবস্থা, এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেই স্বপ্নের লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।


সাঈদ খোকন বলেন, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিসের পক্ষ থেকে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছি। যে সম্মেলনে কাবা শরীফের ইমামকে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সৌদি সরকারের ধর্ম মন্ত্রীর আমন্ত্রণে সৌদি আরবে গিয়েছি। এ বিষয়ে তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ কাবা শরীফের ইমামের উপস্থিতিতে ঢাকা শহরে সর্বকালের সবচেয়ে বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


তিনি বলেন, শুধুমাত্র দেশের সামরিক শক্তি, গোলাবারুদ বা অস্ত্র নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। তৌহিদের সাথে সম্পৃক্ত। মুসলমানদের ঈমান যতক্ষণ পর্যন্ত সহি আকীদার উপর ভিত্তি করে মজবুত থাকবে ততোদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ অখন্ডতা পৃথিবীর এমন কোন শক্তি নেই ভাঙতে পারবে। এই লক্ষ্যে জমিয়তে আহলে হাদীস কাজ করে যাবে।


দা'ওয়াহ ও তাবলীগী মহাসম্মেলনে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি অধ্যাপক শাইখ ড. আব্দুল্লাহ ফারুক এর সভাপতিত্বে বিদেশী আমন্ত্রিত আলোচক আল ইসকান্দারিয়া ইউনিভার্সিটি, মিশরের প্রফেসর শাইখ ড. তলা‘আত আবদুর রাযযাক মাহমূদ যাহরান, শাইখ ড. উসামা আতায়া আল উতাইবী, প্রখ্যাত দাঈ, জর্ডান, শাইখ নেপাল জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি আবদুল হাই মুহাম্মদ হানীফ মাদানী, অল ইন্ডিয়া জমঈয়তে আহলে হাদীসের আমীর শাইখ আসগর আলী আস সালাফী আল মাদানী, জামি‘আ ইমাম বুখারী, ভারতের শাইখ আবদুর রাকীব বুখারী আল মাদানী।


এ সময়ে জুম্মার খুৎবা প্রদান করেন - রাজকীয় সাউদী আরবের ধর্ম মন্ত্রণালযয়ের, প্রখ্যাত দাঈ, শাইখ মাহির বিন যফির আল কাহতানী।


আহলে হাদীসের তাবলীগী মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সেক্রেটারি জেনারেল, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী ও মহাসম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক  আলহাজ্জ আওলাদ হোসেন সহ দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বরেণ্য উলামায়ে কিরাম ও বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের নেতৃবৃন্দ।