শেখ হাসিনা সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: সোমবার ১৬ই জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনা সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ: খাদ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন। সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে তিনি নিবেদিত প্রাণ বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।


সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ২য় পর্যায়ে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নওগাঁর নিয়ামতপুর প্রান্তে উপস্থিত থেকে সকলের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।


উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য  ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। তিনি সকল ধর্মের উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।


সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ও এসডিজির অগ্রগতি ভালো। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।বিভিন্ন অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা ধর্মীয় ও নৈতিক উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তিনি সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর সে ধারাবাহিকতায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।


নওগাঁ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আল মামুন হক, নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং ইসলামী ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।


উল্লেখ্য, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা-সংবলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও অটিজম সেন্টার, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিনের প্রশিক্ষণ-আবাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং-সুবিধা রাখা হয়েছে।


মডেল মসজিদগুলোতে দ্বিনি দাওয়াত কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।