কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী, সচিব ও কুমিল্লা -৪ (দেবীদ্বার) নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম গোলাম মোস্তফার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বাদ আসর ঢাকা গুলশান আজাদ মসজিদে নামোজে জানাযা শেষে বনানী গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯ টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দুরারোগ্য ব্যাধী ও বাধ্যর্কজনিত নানা রোগে ভোগছিলেন।
মরহুমের জানাযায়, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক উপ-মন্ত্রী ও এমপি এএফএম ফখরুল ইসলাম মূন্সী, কুমিল্লা (উঃ) জেলা আ’লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও সরকারী- বেসরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বি এম গোলাম মোস্তফা ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর আগে তিনি এরশাদ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মুসলিম লীগ নেতা মৌলভী মফিজ উদ্দিন আহমেদের পুত্র ও সাবেক ডি আইজি এবিএম গোলাম মোরশেদের বড় ভাই। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলা দেবীদ্বার উপজেলার বড়শালঘর গ্রামে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানসহ বহু স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কুমিল্লা (উঃ) জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবিএম গোলাম মোস্তফা সাহেব তার জীবদ্বশায় বলেছিলেন তাকে যেন দেবীদ্বারে জানাযা দেয়া হয়। ওনার ছেলে মেয়েদের আপত্তির কারনে তা সম্ভব হয়নি। জাতীয় সংসদ ভবন প্লাজায় করোনাকালিন সময়ে জানাযা নিষিদ্ধ থাকায় ওখানে জানাযা দেয়ার অনুমতি মিলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।