সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছিল চেয়ার। যেখানে বসার কথা ছিল কর্মী-সমর্থকদের। তবে সম্মেলন শুরু হলেও চার ভাগের এক ভাগ কর্মীও উপস্থিত ছিলেন না। ফলে কর্মী সংকটে তড়িঘড়ি করে স্থগিত করতে হয়েছে সম্মেলন। জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন যথাসময়ে শুরু হয়। কিন্তু বেশিরভাগ চেয়ারই খালি পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরই মঞ্চে ওঠেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা। তারা সম্মেলনে এমন কর্মী সংকট দেখে ক্ষুব্ধ হন।
মঞ্চ থেকে মাইক দিয়ে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন বার বার কর্মী-সমর্থকদের প্যান্ডেলের নিচে অর্থাৎ সম্মেলনে আসার জন্য আহ্বান জানালেও কেউ তার কথায় সাড়া দেননি।
একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকার কারণেই এই ঘোড়াধাপ ইউনিয়নটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের ব্যর্থতার কারণেই আজ পরিণতি।
তিনি উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারাই বলেন এই সভাপতি, সম্পাদকের কি আর নেতৃত্বে থাকা চলে কি চলে না? পরে তিনি চলমান ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন এবং একইসঙ্গে বর্তমান কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে সম্মেলনের তারিখ জানানো হবে বলে জানান।
সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এমএ মান্নান খান উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ইউনিয়নের জোকা ভারুয়াখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন তরফদার, সদস্য এম খলিলুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন লিটা প্রমুখ।
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।