কর্মকৌশল নির্ধারণে তৃণমূল নেতাদের মতামত নেয়া হবে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:৩১ অপরাহ্ন
কর্মকৌশল নির্ধারণে তৃণমূল নেতাদের মতামত নেয়া হবে : ফখরুল

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারণে এবার তৃণমূল নেতাদেরও মতামত নেবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারমনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের তৃতীয় দিনের ধারাবাহিক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাড়ে ৪ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়। গত রোববার এই বৈঠক শুরু হয়েছিলো। যা বৃহস্পতিবার শেষ হলো। এই তিন দিনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক মন্ডলী এবং শেষ দিন দলের অঙ্গ-সংগঠনের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বিএনপি।


বিএনপি তিনটি সভা হলো জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আজকে শেষ। আগামী শনিবারে আমাদের স্থায়ী কমিটির মিটিং আছে। এই মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো যে, আরো কয়েকটি সভা করবো কি না। কারণ আমাদের এখনো কিছু কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময় বাকী রয়েছে। তাদের নিয়ে এবং জেলা পর্যায়ের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিদের নিয়ে মিটিং করার কথা আছে।


মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা হয়ত সেই বিষয়গুলো সিদ্ধান্ত নেবো। পরে আমরা পেশাজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে। আমরা দেখি যে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যদি সিদ্ধান্ত হয় পরবর্তিতে এসব মিটিংগুলো আমরা করব। ধারাবাহিক বৈঠকে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কী করণীয় এবং আমাদের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।


তিনটি মিটিংয়ে কি কি পরামর্শ এসেছে- জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা সময়মত জানতে পারবেন। আমরাই আমাদের প্রয়োজনেই তখন আপনাদেরকে জানাব।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মকৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে নেতাদের মতামত জানতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই বৈঠক ডেকেছেন।


বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। তৃতীয় দিনের দলের অঙ্গসংগঠনের অর্থাৎ যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, তাঁতী দল, উলামা দল, মৎস্যজীবীসহ অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতা মিলে ৯২ জন অংশ নেন।


এদের মধ্যে যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদুর, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ই্য়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, রফিকুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, নেওয়াজ হালিমা আরলী শাম্মী আখতার, জেবা খান, হেলেন জেরিন খান, চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবন, জাকিরুল ইসলাম জাকির, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মামুন খান, পার্থদেব মন্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান,আমিনুর রহমান আমিন, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, চেয়ারপারসন কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, রিয়াজ উদ্দিন নসু এবং প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ ছিলেন।


প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন।