১৭ মাস পর ঘুম ভেঙেছে বিএনপির !

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২রা সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:১৮ অপরাহ্ন
১৭ মাস পর ঘুম ভেঙেছে বিএনপির !

করোনা শুরুর টানা ১৭ মাস পর অবশেষে ঘুম ভেঙেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর। করোনা মোকাবেলায় বিএনপির জেলা ও মহানগর করোনা হেল্প সেলে সম্পৃক্ত ও সহযোগিতা এবং নিজ নির্বাচনী এলাকায় করোনায় আক্রান্তদের পাশে থাকার জন্য পত্র প্রেরণ করেছে দলের মহাসচিব।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আবেদন করা প্রার্থীদের কাছে গত ১৭ আগস্ট স্বাক্ষরিত এ পত্র প্রেরণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বরিশালে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পরেন একাধিক নেতৃবৃন্দ। এরপরই বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নির্দেশের বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পরে।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আবেদন করা বরিশাল বিভাগের প্রার্থীদের কাছে মহাসচিবের প্রেরিত চিঠিতে করোনা মোকাবেলায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়। তবে চিঠি পাওয়ার পরেও অধিকাংশ নির্বাচনী এলাকায় করোনা আক্রান্তদের জন্য বিএনপির তেমন কোন কর্মকান্ড দেখা যায়নি। এমনকি একাদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া অধিকাংশ নেতাদের নির্বাচনী এলাকায় তেমন কোন যোগাযোগও নেই। সেক্ষেত্রে ব্যক্তিক্রম বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা।


খোঁজনিয়ে জানা গেছে, দলের মহাসচিবের পত্র প্রেরণের পূর্বেই করোনার শুরু থেকে অদ্যবর্ধি নেতাকর্মীদের নিয়ে দিনরাত করোনা আক্রান্তদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা আব্দুস সাত্তার খান। তিনি নিজে অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে সেবা দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করোনা আক্রান্তদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ,  করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, করোনার টিকা রেজিষ্ট্রেশন, করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং অসহায় কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।


আব্দুস সাত্তার খান বলেন, কে কি করেছে সেটা বড় কথা নয়; করোনা মহামারীর এ ক্লান্তি লগ্নে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দর পরামর্শে আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।