শুক্রবার রাস্তা আটকে মুসলিমদের জুমার নামাজ পড়ার বিরোধিতায় এবার পথে নামলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বিজেপি যুব মোর্চার নেতাকর্মীরা। রাস্তায় মুসলিমদের শুক্রবারের নামাজের প্রতিবাদে তারা রাস্তা আটকিয়ে হনুমান চালিশা (মন্ত্র) পাঠ করেছেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হাওড়ার বালিখালে বজরংবলি মন্দিরের সামনে গতকাল শখানেক বিজেপি কর্মী রাস্তায় বসে হনুমান চালিশা পাঠ করেন। বিজেপি যুব মোর্চার হাওড়া জেলা সভাপতি ওমপ্রকাশ সিং বলেন, ‘যতদিন না রাস্তা আটকে নামাজ পড়া বন্ধ হবে, ততদিন আমরাও রাস্তা আটকে হনুমান চালিশা পড়ব।’ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, রাস্তা আটকে আমজনতাকে দুর্ভোগে ফেলার অধিকার কারও নেই।
জেলা বিজেপির বক্তব্য, ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের থাকলে তা বাড়িতে করাই ভালো। রাস্তা আটকে মানুষকে বিপদে ফেলা উচিত নয়। ওমপ্রকাশ সিং আরো বলেন, ‘ধর্মীয় আচার আচরণ পালনের জায়গা হল মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার বা চার্চ।কিন্তু এই বাংলায় যেদিন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এসেছে, সেদিন থেকে বাংলার সংস্কৃতি পুরোপুরি নষ্ট হতে বসেছে। দিদি আসার পর প্রত্যেক শুক্রবার জিটি রোড বন্ধ করে একটি সম্প্রদায়ের মানুষ নমাজ পাঠ করছে।’ তারই প্রতিবাদে প্রতীকী আন্দোলন হিসেবে জিটি রোড বন্ধ করে বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে পাঁচ বার হনুমান চালিশা পাঠ করা হয়। বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে রাস্তা জুড়ে নামাজ পড়া বন্ধ না হলে, প্রত্যেক মঙ্গলবার জেলার সমস্ত হনুমান মন্দিরের সামনে রাস্তা বন্ধ করে হনুমান চালিশা পাঠ করা হবে।
বিজেপির দাবি, বাংলায় হিন্দুরা যেমন দুর্গাপুজো, ছট পুজো করে, তেমনই মুসলমানরাও নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। কিন্তু শুক্রবারের মতো ব্যস্ত দিনে কোনও মতে রাস্তা আটকানো যাবে না। খবরে বলা হয়েছে গতকালের বিজেপির প্রতীকী আন্দোলনে পাঁচ মিনিটের জন্য জিটি রোড বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ বার হনুমান চালিশা পাঠ করা হয়। তাতে ব্যাপক যানজট হয়ে যায়। বিজেপি নেতারা পরে বলেন, পাঁচ মিনিটে যদি এমন যানজট হয়ে যায়, তবে ভাবুন সারা রাজ্যে শুক্রবার দেড় ঘণ্টা ধরে রাস্তা আটকে রাখলে কী অবস্থা হয়? গেরুয়া শিবিরের হুঁশিয়ারি, রাস্তায় বসে হনুমান চালিশা পাঠের জন্য যদি গ্রেপ্তার করা হয়, তাতেও এই কর্মসূচি থেকে সরবে না দল।
তৃণমূল কংগ্রেস হাওড়া জেলার (সদর) সভাপতি তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘আমরা এই নামাজ জন্মের আগে থেকে দেখে আসছি। এর সঙ্গে অযথাই তৃণমূলকে জড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা একটা ধর্মীয় রীতি। বিজেপি এ সব করে রাজ্যে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।’
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।