সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুন্দরী নারীর ‘ফাঁদ’ পেতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ভারতীয় সেনাদের বিভ্রান্ত করে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার কাজ করছে বলে দাবি করছে দেশটির সেনাবাহনী। সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কৌশলে ভুয়া অ্যকাউন্ট খুলে জওয়ানদের প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদে জানানো হয়েছে, ভারতীয় নারীদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে জওয়ানদের একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধু বানানো হচ্ছে। তারপর যৌন সুড়সুড়িমূলক বার্তা দিয়ে ছলনার আশ্রয় নিয়েছে পাকিস্তান। তাছাড়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে সেনাদের ফাঁসানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এমন তথ্য আসার পর থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছে গোয়েন্দা সদর দফতর। সেনাবাহিনীর কোনো গোপন তথ্য যাতে পাচার না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। সেনাবাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ফেসবুকে ভুয়া প্রোফাইল খুলছে। আর তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতের সুন্দরী নারীদের ছবি।
সেসব ভুয়া প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে ভারতীয় জওয়ানদের। তারপর তাদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে আরও জানানো হয়েছে, ‘সন্দেহজনক একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একাধিক সেনা কমকর্তাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর খবর আমরা পাই। তারপরই মূলত পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হয়। তাতে দেখা যায়, পাকিস্তানের গোয়েন্দারা ভুয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।’ ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা জওয়ানদের এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে, যেন এ ধরনের প্রোফাইলগুলো তারা এড়িয়ে চলে। তাছাড়া সেনাবাহিনীর নীতি-নির্ধারণী মহল থেকেই উচ্চপদস্থ কর্মর্তাদেরকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার শিকার হন সোমবীর নামের এক সেনা সদস্য। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এক সদস্য সুন্দরী নারীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। সেই ফাঁদে পাও দেন তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।