সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম: দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৮শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৮:৪২ অপরাহ্ন
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম: দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা

সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত আলটিমেটাম প্রত্যাহার করে নতুন করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই নতুন আলটিমেটামের ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের সহপাঠীদের ওপর হামলাকারীদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই আলটিমেটাম বহাল থাকবে। তারা আরও উল্লেখ করেন যে, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য তারা পূর্বের আলটিমেটাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে, নতুন আলটিমেটামে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন। 


সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, এখনো চূড়ান্ত কোনো সমাধান হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন যে, যারা তাদের সহপাঠীদের আহত করেছেন, তাদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমাধান সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ এড়াতে তারা পূর্বের আলটিমেটাম প্রত্যাহার করেছেন। তবে, নতুন আলটিমেটামে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন। 


কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী বলেন, যারা তাদের সহপাঠীদের রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনো সমাধান সম্ভব নয়। তিনি উল্লেখ করেন যে, তারা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন এবং ১ তারিখ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম, বিশেষ করে ক্লাস এবং পরীক্ষা শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙচুর এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচি তারা প্রত্যাহার করেছেন। 


শিক্ষার্থীরা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা নতুন করে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশ করা, এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা, সকল বর্ষের চলমান পরীক্ষা পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী চলমান রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই চলমান সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা এবং সাত কলেজের চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আগামী দুই দিনের মধ্যে টেবিলটকের আয়োজন করা। 


এর আগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঘোষিত এক আলটিমেটামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য তারা ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেধে দেন। দাবি পূরণ না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সাত কলেজের সামনে দিয়ে চলতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 


শিক্ষার্থীদের নতুন আলটিমেটাম এবং দাবিগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, তাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসবে। 


শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন এবং দাবিগুলো নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করেন যে, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। তবে, কিছু মহল থেকে এই আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা মনে করেন যে, এই আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। 


শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তারা বলেছেন, তাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, তাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ হবে। 


শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন এবং দাবিগুলো নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করেন যে, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। তবে, কিছু মহল থেকে এই আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা মনে করেন যে, এই আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। 


শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তারা বলেছেন, তাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, তাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ হবে।