সিরাজগঞ্জের সলংগা-তাড়াশ রাস্তাটি বর্তমানে এক মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। রাস্তার উভয় পাশে বেড়ে ওঠা শুকনো মরা গাছগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হতে পারে বলে এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে গাছগুলো অযত্নে পড়ে থাকায় কোনো একটি মুহূর্তে তা ভেঙে রাস্তার উপর পড়তে পারে, যা যাত্রী ও পথচারীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
এই রাস্তার উভয় পাশে এক সময় বনবিভাগের তত্বাবধানে গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল। আকাশমনি, অর্জুন, ইউক্লিপটাস এবং রেন্ট্রি কড়ি গাছের কিছু চারা রোপিত হয়েছিল, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছ বন্যপ্রাণীদের কারণে বা বনদস্যুদের তাণ্ডবে হারিয়ে গেছে। বাকি গাছগুলোও মরা বা শুকিয়ে গিয়ে রাস্তার উপরে ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে গোড়া পঁচা গাছগুলো রাস্তার উপর ঝুলছে, যেকোনো সময় সেগুলি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
এলাকার কয়েকটি স্থান যেমন ঝুরঝুরি, সরাপপুর, জাহাঙ্গীরগাঁতি এবং সোনাপাতিল গ্রামসহ এই রাস্তার বেশ কিছু অংশে গাছগুলো ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে এবং এর পরিণতি ঘটেছে মারাত্মক দুর্ঘটনার। গত কয়েক মাসে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে রাস্তার উপর থেকে গাছ পড়ে গাড়ি বা মানুষের ওপর আঘাত হেনেছে। তবে প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাবে মরা গাছগুলো এখনো অপসারণ করা হয়নি।
এই রাস্তা হলো নাটোরের সিংড়া থেকে তাড়াশ হয়ে পূর্ববঙ্গ এবং ঢাকা যাওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। এখানে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন ও মানুষের চলাচল থাকে। এতে করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, প্রশাসন বা বনবিভাগের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না, যা এই পরিস্থিতি আরও মারাত্মক করে তুলছে।
এলাকার মানুষজনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দ্রুত এই মরা গাছগুলো সরানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসন এবং বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উচিত, এই সমস্যাটির সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যাত্রীরা যেভাবে প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন, তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এসব গাছ দ্রুত সরানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এমন অবস্থায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তারা জানে, যে কোনো মুহূর্তে রাস্তার ওপর থেকে গাছ পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখন সময় এসেছে, প্রশাসন যেন দ্রুত এই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুভব করে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, যাতে করে এই মরণফাঁদ থেকে মুক্তি পায় সলংগা-তাড়াশ রাস্তার যাত্রীরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।