বুধবার আসছে ভারতের ‘উপহার’ ২০ লাখ টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৮ই জানুয়ারী ২০২১ ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
বুধবার আসছে ভারতের ‘উপহার’ ২০ লাখ টিকা

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ২০ লাখ টিকা আগামী বুধবার ভারত থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে। এই টিকা প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিচ্ছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ঔষধ প্রশাসনে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


এর আগে দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে উপহার হিসেবে আরও কিছু টিকা আসবে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান,


ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে টিকা উপহার দেয়ার ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রোজেনেকার ২০ লাখ টিকা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি এই টিকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।


ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এক জরুরি চিঠিতে জানানো হয়, বিশেষ বিমানে করে দুই মিলিয়ন (২০ লাখ) টিকা দেশে আসবে। তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে যে ক্রয় চুক্তি হয়েছে তার অন্তর্ভুক্ত নয়। এগুলো ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতার নির্দশন হিসেবে দেয়া হবে।


চিঠিতে বলা হয়, টিকাগুলো একটি বিশেষ বিমানে ২০ জানুয়ারি ভারত থেকে ঢাকায় পাঠানো হবে। টিকার এই চালানে মোট ২৯ হাজার ৪০০ ভায়ল থাকবে। যার ওজন ৭৮০ কেজি। প্রতিটি বাক্সে ১২০০ ভায়ল প্যাকেট করা থাকবে। যার প্রতি প্যাকেটের ওজন ৩২ কেজি।


বাংলাদেশ সরকারিভাবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে, যার প্রথম চালান ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার।


চুক্তি অনুযায়ী, ওই তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ পাবে ছয় মাসের মধ্যে। বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার ‘ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা সরবরাহ করবে।


এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স এর আওতায় আরও আড়াই কোটি ডোজ টিকা আগামী জুনের মধ্যে বাংলাদেশ পাবে বলে সরকার আশা করছে।


সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠ পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেজন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে।