প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২০, ২:২৪
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের দিনগুলো অন্য সবার মতোই বেশ স্বাভাবিক ছিল জাকির হোসেনের। সুঠাম দেহের অধিকারী এ মানুষটি এক সময় কাচঁপুরে তৃপ্তি সয়াবিন কোম্পানিতে কাজ করতেন।
কোনো এক কারণে কোম্পানিটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে যান তিনি। এর মাঝে আরও একটি দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। সেই দুর্ঘটনায় একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে তার। এরপর থেকে জীবনে ভোগান্তি আর হতাশা শুরু। এ অবস্থায় ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি এ পায়ের ওপর ভর করে টেনে যাচ্ছেন সংসার নামক লাগামহীন ঘোড়া। জাকির হোসেনের মাঝখানের জীবনের গল্পগুলো আরও করুণ। বর্তমানে তিনি থাকেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের কুতুবপুরে।
কথা হয় একই খেয়া ঘাটের মাঝি ওমর ফারুকের সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মোট ২৫ জন মাঝি এ ঘাটে নৌকা চালাই। আমগো লগের খালি জাকির ভাইয়েরই পাও নাই। ওনার যদি অভাব না থাকতো তাইলে তো ওনি এক পাও লইয়া কষ্ট কইরা নৌকা চালাইতো না। কথা হয় কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশাররফ ওমরের সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই আমি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। লকডাউনের সময় উনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করেছি। প্রয়োজনে অসচ্ছল জাকির হোসেনকে আবারও সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।