প্রকাশ: ৬ জুন ২০২০, ১৬:৭
হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে কমবেশি মূলধারার বহু চিকিৎসকের বিতৃষ্ণা আছে। প্রায় ২০০ বছর আগে জন্মলগ্ন থেকে বিতর্ক পিছু না ছাড়লেও বিশ্বের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ আস্থা রাখেন হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসার ওপর। কলেরা, বসন্ত, প্লেগ বা টাইফয়েডের মহামারি থেকে বাঁচতে ১০০ বছর আগেও আমাদের দেশের প্রধান অস্ত্র ছিল হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ। কলেরা, বসন্ত, প্লেগের মহামারির সময়েও হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ অনেক অসুস্থকে সুস্থ করতে সাহায্য করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
নানান বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষা করার পরই সরকারি আয়ুষ মন্ত্রক রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে কোভিড-১৯ অতিমারিকে দূরে সরিয়ে রাখতে হোমিয়োপ্যাথি ওষুধের ওপর আস্থা রেখেছেন, বললেন মিনিস্ট্রি অব আয়ুষের সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিয়োপ্যাথির (সিসিআরএইচ) সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি বডির সদস্য হোমিয়োপ্যাথি বিশেষজ্ঞ রথীন চক্রবর্তী।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিয়োপ্যাথির (সিসিআরএইচ) সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি বডির ৯ জন গবেষক চিকিৎসক ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের ওপর আর্সেনিক অ্যালবাম ওষুধ প্রয়োগ করার পর রোগের বিস্তার ঠেকিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন। তার পরই কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে হোমিয়োপ্যাথি ওষুধের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানালেন রথীনবাবু।
হোমিয়োপ্যাথি ওষুধের সাহায্যে একই সঙ্গে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার পাশাপাশি ভাইরাসের বাড়বৃদ্ধি আটকে দেওয়া যায় বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আর এই কারণেই কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক তাদের প্রচারিত অ্যাডভাইসরিতে করোনা প্রতিরোধে আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানালেন রথীনবাবু। আর্সেনিক ছাড়াও রাস্টাক্স সমেত বেশ কিছু ওষুধ শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়িয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বেশ কিছু কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ওপর হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করে দ্রুত তাঁদের সুস্থ করে তোলা গিয়েছে বলে জানালেন রথীনবাবু।
বয়স্ক ও শিশুদের সংক্রমণের হাত এড়াতে বাইরে বেরনো বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে বলে জানালেন প্রণববাবু। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে কোনও প্রতিরোধ ব্যবস্থাই কখনও একশো শতাংশ কার্যকর হয় না। তাই ওষুধের ব্যবহার ও সব রকম বিধিনিষেধ মেনে চলার পরেও যদি ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে বলে আশঙ্কা করেন বা কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে অবশ্যই রোগ গোপন না করে ডাক্তার দেখাতে বললেন প্রণব মল্লিক।