প্রকাশ: ২৪ মে ২০২০, ২২:৪৮
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ভোলা জেলার ১৩ হাজার মুসুল্লি একদিন আগেই আজ রোববার সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদ-উল- ফিতর উদযাপন করছেন। এরা শুরেশ্বর ও সাতকানিয়া দরবার শরীফের অনুসারী। সৌদির সাথে একই দিনে দুই দরবার শরীফের অনুসারীরা রোজা রেখেছেন ও শবে কদর পালন করেছেন।
শরিয়তপুরের নরীয়া শুরেশ্বর দরবার শরীফ ও চট্রগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীগন প্রতি বছর সৌদির সাথে একই দিনে রোজা রাখেন ও ঈদ পালন করেন। শুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারী ভোলা জেলার খলিফা বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ মজনু ফকির জানান,ভোলার সব ক’টি উপজেলায় তাদের অনুসারী আছে এবং তাদের সংখ্যা ১০ হাজারের কম নয়।
তিনি জানান, ভোলায় তাদের ৬ টি ঈদের জামাত হয়েছে। ওই ঈদ জামাত হচ্ছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মনিরাম ও খাসের হাট, কাচিয়া ইউনিয়নের মুলাইপত্তন, লালমোহন উপজেলার পৌর এলাকায় মফিজ পাটোওয়ারী বাড়ীর জামে মসজিদ, চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের জালাল মহাজন বাড়ীর জামে মসজিদ ও মনপুরা উপজেলায় হাজির হাটে একটি।
অন্যদিকে সাতকানিয়ার অনুসারীদের সমন্বয়কারী টবগী ইউনিয়নের আ. রহিম মাষ্টার জানান, ভোলায় তাদের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তাদের একমাত্র ঈদের জামাত হয়েছে টবগী ইউনিয়নের চৌকিদারবাড়ী জামে মসজিদে। জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী অনুসারীরা ওই মসজিদে এসে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সৌদির সাথে একই দিনে ঈদ কেন এ প্রশ্নে প্রায় অভিন্ন সূরে তারা বলেন, আমরা সবাই হানাফী মাযহাবের অনুসারী,তাই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে রোজা ফরজ হয়। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে মূহুর্তের মধ্যে এ সংবাদ সারা বিশ্ব হয়ে যায়। তাহলে আমাদের মধ্যে এ বিভাজন থাকবে কেন। একই বিশ্বে দু’টি তারিখে ঈদ হয় কিভাবে। তারা মুসলমানদের তীর্থভূমি সৌদির সাথে মিলে একই দিনে মুসলমানদের যাবতীয় ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার বিকল্প নেই বলে মনে করেন। তাদের বিশ্বাস অবিলম্ভে অন্যরাও তাদের কাতারে শামিল হবে।
তবে তাদের প্রতিবেশীরা এ মতাদর্শের সমর্থন না করে বলেন, ইসলামের ১৪ শ’ বছরের চলমান ইতিহাস দুই এক জনের মতামতে কিছু যায় আসেনা। রাস্ট্রীয় পযায়ে চাঁদ দেখে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলার রীতি কোরআন-হাদীস স্বীকৃত। বরং তারা প্রশ্ন রাখেন,যদি মিলের কথা বলা হয় তাহলে তারা সৌদির সাথে একই সময় নামাজ আদায় করেননা কেন।