চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণের সাত বছর হলেও এখনো তা চালু করা হয়নি।বর্তমানে দৃষ্টিনন্দিত ওই ভবনের রঙ চটে গিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় আকারের অসংখ্য দূর্ঘটনা।এসব দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলার পদুয়ায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ট্রমা সেন্টার।কিন্তু কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ট্রমা সেন্টারটি পঙ্গুদের চিকিৎসার পরিবর্তে বছরের পর বছর ধরে নিজেই পঙ্গু হয়ে পড়ে রয়েছে।ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সড়ক দূর্ঘটনায় আহতরা।জানা যায়, উপজেলার পদুয়ায় ২০০৭ সালের জুন মাসে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এ ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে উদ্বোধন করেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলা বিশিষ্ট ওই ভবনে আছে ২০টি শয্যা।তার মধ্যে বিশেষ কেবিন (ভিআইপি) দুটি, সাধারণ শয্যা ১৮টি।হাসপাতালের জন্য আসবাবপত্র সরবারহ করা হলেও কোন প্রকার যন্ত্রপাতি সরবারহ করা হয়নি।চিকিৎসকও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।আছে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগও।এতবছরেও ট্রমা সেন্টারটি চালু না হওয়ায় মালামালগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাক্তার মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার জনবল নিয়োগ হয়নি।আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছি জনবল নিয়োগের জন্য।শেষ গত মাসে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।তিনি আরো জানান, বর্তমানে ট্রমা সেন্টারটি করোনাভাইরাসের জন্য বিশ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/ জি.হা
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।