বন্য হাতির আক্রমণে বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার ২৪শে নভেম্বর ২০১৯ ১২:২২ অপরাহ্ন
বন্য হাতির আক্রমণে বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসা বন্য হাতির আক্রমণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাতির পালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জমির ফসলের। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কধুরখীল, সৈয়দনগর ও জ্যৈষ্ঠপুরায় হাতির পৃথক আক্রমণের শিকার হন তারা। তাদের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নিহতরা হলেন, আবু তাহের মিস্ত্রী (৬০), স্কুল শিক্ষক জাকের হোছাইন (৬৫) ও কৃষক আব্দুল মাবুদ (৬০)। কধুরখীল এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, সকালে কধুরখীল এলাকায় শস্যক্ষেতে কাজ করার সময় ৪/৫টি হাতি আবদুল লতিফ মিস্ত্রির ছেলে আবু তাহের মিস্ত্রি (৬০) ওপর আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে পূর্ব সৈয়দনগরে হাতির আক্রমণে মারা গেছেন খরণদ্বীপ বিজান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন (৬৫)। তিনি চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগরের মৃত আবদুল মোনাফের ছেলে। নিহতের মেয়ে ফাহমিনা আফরোজ তারিন জানান, সকালে চাঁন্দারহাট জামে মসজিদের পাশে হাতির পাল তার বাবাকে (জাকের মাস্টার) আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে হাতির পালটি পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের আমির পাড়ার আবদুল মাবুদ (৬০) নামের এক কৃষককে আক্রমণ করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাছান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাতির আক্রমণে আবদুল মাবুদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় আলী আহমদের ছেলে। বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। হাতিগুলো দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সবার সহযোগিতা কামনা করছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার ভোরে জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে বাচ্চাসহ ৯টি হাতি। দিনভর হাতিগুলো পূর্ব কধুরখীল বায়তুল জামে মসজিদের সুপারি বাগানে অবস্থান নেয়। রোববার সকালে দুভাগে বিভক্ত হয়ে একদল কধুরখীল -চরণদ্বীপের দিকে যায়, অন্যদল খরণদ্বীপ হয়ে পাহাড়ের দিকে যায়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর