পিরোজপুরে প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীসহ গ্রেফতার ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ১৬ই নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
পিরোজপুরে প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীসহ গ্রেফতার ৮

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জেডিসি (জুনিয়র দাখিল) মাদ্রাসায় পরীক্ষায় উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিপিএম মাদ্রাসা কেন্দ্রের ৮নং কক্ষে মুনিয়া আক্তার (মুল পরীক্ষার্থী হাফিজা আক্তার-রোলনং-৩০৬৫৮৫), রুমী আক্তার(মুল পরীক্ষার্থী কারিমা-রোলনং- ৩০৬৫৫০), নুপুর আক্তার (মুল পরীক্ষার্থী মুনিয়া আক্তার-রোলনং-৩০৬৫৪৯),সোনিয়া আক্তার (মুল পরীক্ষার্থী বকুল বেগম-রোলনং-৩০৬৫৪১ অসাদুপায় অবলম্বন করে মুল পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে জুনিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী নিজ নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম গোলবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী হিসেবে নাম রোল ব্যাবহার করে এবং মোমেনুল (মুল পরীক্ষার্থী মো. বায়জীদ-রোলনং-৩০৬৩৮৬) প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পরে।

বিষয়টি কেন্দ্র সচিবের নজরে আসলে তিনি এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলমকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারি কমিশনার ভ‚মি মো. তৌহিদুল ইসলামকে তদন্ত প‚র্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি মো. তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অসাদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্র পরিদর্শককে নির্দেশ দিলে কেন্দ্র পরিদর্শক মুল পরীক্ষার্থীদের তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে এর সত্যতার প্রমান মেলায় অভিযুক্তদের বিবাদি করে কেন্দ্র পরিদর্শক উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এমাদুল হক বাদি হয়ে কেন্দ্রসচিব,সুপার, প্রক্সি পরীক্ষার্থী সহ ১৩জনকে বিবাদি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম জানান, মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্র-২ বিপিএম দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মাওলানা আমীর হোসেন সহ মোট ৭জন আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের অনিয়মসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা বোর্ডে চিঠি দেয়া হবে বলে জানান।এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ওসি তদন্ত মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, বিপিএম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এমাদুল হক বাদি হয়ে মাদ্রাসার সুপারসহ ১৩জনকে বিবাদি করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। তার মধ্যে ১নং বিবাদি উপজেলা জামায়েতের রোকন মো. আমীর হোসেন(৪৯),ছিদ্দিকুর রহমান (৪৫) সুপার হরিনপাল সিদ্দিকিয়া দাখিলা মাদ্রাসা এবং প্রক্সিদাতা মুনিয়া আক্তার ,রুমী আক্তার, নুপুর আক্তার,সোনিয়া আক্তার ও মোমেনুল সহ ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩নম্বর বিবাদি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন(৪০) পশ্চিম গোল বুনিয়া দাখিলা মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব