
প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:২৮

আজ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ,মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারের অভ্যন্তরে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কারাগার একট নিরাপদ স্থান হওয়া সত্তেও এ ধরনের নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয় এই চার জাতীয় নেতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবুন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধীরা। এই নির্মম হত্যাকান্ডের পরই ঢাকার কেন্দ্রীয় কারগারে সংগঠিত হয় আরেকটি বর্বর হত্যাকান্ড।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন এই জাতীয় চার নেতা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা এদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেননি। তাই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে দেশি-বিদেশি ও স্বাধীনিতাবিরোধী এই চক্রটি জাতির পিতাকে হত্যা করে। খুনি মোশতাকের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী এই চক্র এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। যাতে স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়।এবং বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সেই নীল নকশা তৈরি করে স্বধীনতাবিরোধীরা। এই নীল নকশার অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশে যাতে কোনদিন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। এই চিন্তাধারা থেকেই জেলখানায় নির্মমভাবে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করা হয়।
তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এই জাতীয় চার নেতা। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন তারা। জাতির বঙ্গবন্ধু পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কারগারে বন্দি থাকা অবস্থায় আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য আন্দোলন-সংগ্রামকে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যান এই জাতীয় চার নেতা। এই নির্মম ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে এই ৩রা নভেম্বর। এই জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো দিনটিকে স্বরণ করবে দেশের সর্বদিক মানুষ এবং আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন ও দল সংগঠনের নেতারা।

ইনিউজ ৭১/এম.আর