
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৩৮

বিমানের প্রায় ৬০০ কোটি টাকা গচ্চার পর অবশেষে বিদায় নিল মিসর (ইজিপ্ট এয়ালাইন্স) থেকে ভাড়ায় আনা দুই ত্রুটিপূর্ণ এয়ারক্রাফট। ১৬ জুলাই প্রথম উড়োজাহাজটি মিসর পাঠানো হলেও দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি বিদায় নিচ্ছে আজ। উড়োজাহাজটি এখন ফিলিপাইনের একটি মেরামত শপে রয়েছে। এটি ফেরত পাঠাতে এরই মধ্যে বিমানের পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন (ডিএফও) ক্যাপ্টেন এবিএম ইসমাইল ও ক্যাপ্টেন ইসহাকের নেতৃত্বে একটি টিম ফিলিপাইন পৌঁছেছে। আজ সকালে তারা উড়োজাহাজটি নিয়ে মিসরের উদ্দেশে রওনা হবেন।
যাওয়ার সময় বাংলাদেশের আকাশসীমা স্পর্শ করে প্রায় ৮ ঘণ্টা বিমান চালিয়ে তাদের মিসর পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জাহাজটি তারা ইজিপ্ট এয়ারলাইন্সের কাছে পৌঁছে দিয়ে অন্য এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটে ঢাকায় ফিরবেন। এসব তথ্য বিমান সূত্রে জানা গেছে। দুটি উড়োজাহাজই দীর্ঘদিন ফিলিপাইনে ওভারহোলিংয়ের কাজে হ্যাঙ্গারে পড়ে ছিল। চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া নেয়ার সময় উড়োজাহাজ দুটি যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, ফেরত দেয়ার সময় সে অবস্থা করে দিতে হবে। এ কারণে প্রায় ৬ মাস উড়োজাহাজ দুটি ফিলিপাইনের একটি ওভারহোলিং শপের হ্যাঙ্গারে রাখা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমানের ‘গলার কাঁটা’ নামে পরিচিত এ দুটি এয়ারক্রাফট নেয়ার সময় অসম চুক্তি করায় ফেরত দিতে এ বিশাল অঙ্কের টাকা গুনতে হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হকের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ও বর্তমান বিমান এমডি মোকাব্বির হোসেনের অক্লান্ত চেষ্টায় অবশেষে বিমানের এ কলঙ্ক মোচন সম্ভব হয়েছে। বিমান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ দুটি লিজ চুক্তিতে আনা হয়েছিল মিথ্যা তথ্য দিয়ে। যে কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি। মাসে ১১ কোটি টাকা হারে পাঁচ বছরে ৬৫০ কোটি টাকার ওপরে মাশুল গুনতে হয়েছে। দুটি উড়োজাহাজ লিজের নামে হাতি পুষেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ কারণে বছরে বিমানকে গচ্চা দিতে হয়েছে প্রায় ১৩২ কোটি টাকা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের মার্চে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর লিজ নেয় বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ওই বছরের মার্চে ও অন্যটি একই বছরের মে মাসে।
