আবরার হত্যা: অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখে ছাত্রলীগের শোকর‌্যালি (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১০ই অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৬ অপরাহ্ন
আবরার হত্যা: অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখে ছাত্রলীগের শোকর‌্যালি (ভিডিও)

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে রোহীবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখে শোক র‌্যালি করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার দিকে আবরার হত্যার প্রতিবাদে শোক র‌্যালি বের করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এসময় টিএসসিতে সড়ক দ্বীপের পাশে তাদের শোকর‌্যালিতে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স অনেকক্ষণ আটকে থাকার পরেও সেটিকে বেরিয়ে যাওয়া জন্য কোনো জায়গা করে দিতে দেখা যায়নি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। অ্যাম্বুলেন্স আটকে র‌্যালির বিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, অ্যাম্বুলেন্স আটকে কোন র‌্যালি হয়নি, যদি আটকে থাকে, তাহলে হয়তো যানজটের কারণে আটকা পড়েছে।

এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে জবাবদিহিতা না করলে বুয়েটের সব ভবনে তালা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতনের বিচার করতে হবে বলে তারা আলটিমেটাম দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, হল প্রশাসনের যে ব্যবস্থাগুলো নেয়া উচিত ছিল, তা নেয়া হয়নি। এমনকি এ ধরনের কোনো প্রক্রিয়াও গ্রহণ করেনি। কাজেই এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১৪ অক্টোবর বুয়েটে যে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফেসবুকে সরকারের সমালোচনা করায় গত রোববার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা আবরার হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে বুয়েট শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন তারা। এর পর খুনিদের বিচার দাবিতে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে আবরার হত্যার ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

তাকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। অমিত বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনার শীর্ষে আছেন অমিত সাহা। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। তার কক্ষেই ডেকে নিয়ে প্রথমে পেটানো হয়। আবরার হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহা যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সেই অভিযোগ দুদিন ধরেই করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, আবরার ফাহাদ হলে আছেন কিনা সে বিষয়ে প্রথম খোঁজ নিয়েছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অমিত সাহা আবরারের এক বন্ধুকে ইংরেজি অক্ষরে 'আবরার ফাহাদ হলে আছে কিনা' মেসেজ দেন।

সুত্র: যুগান্তর

ইনিউজ ৭১/এম.আর